টুটুল তালুকদার, গাজীপুর :
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়িতে এক কারখানা কর্মকর্তা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী সমকামিতার টাকা না দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করে ওই কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বগুড়া সদর থানার জরুন নগর এলাকার খলিল শেখের ছেলে মো. নয়ন এবং একই জেলার সারিয়াকান্দির থানার মানিকদার চর এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে আল আমীন। পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ১৯ জুলাই রাতে ৫ হাজার টাকা চুক্তিতে সমকামিতার জন্য তারা একত্র হয়। চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দিয়ে গোপনে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ওই কর্মকর্তার গলা ও উরুতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এরপর তারা ঘরে তালাবদ্ধ করে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। গত রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি আমবাগ মধ্যপাড়া আতাউর মার্কেট এলাকার মাসুদ রানার পাঁচতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গাজীপুর ফিড মিলের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৪৮) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানার ফুলবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। রফিকুল ইসলাম ওই ফ্ল্যাটের চতুর্থ তলায় ভাড়ায় থেকে গাজীপুর মহানগরের আমবাগ এলাকার গাজীপুর ফিড মিল লিমিটেড কারখানায় অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে জিএমপি কোনাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি গাজীপুর পিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই অভিযান চালিয়ে গাজীপুর মহানগরের জিএমপি গাছা থানার কুনিয়া মোতালেব মার্কেট এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।