গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:
গাজীপুরের টঙ্গী রেল স্টেশনের সামনের পার্কিং এলাকা, স্টেশন মাস্টারের কক্ষের পেছন দিক ও স্টেশন সংলগ্ন সাইটের দেয়াল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অবৈধ এক বিশাল জুতার মার্কেটসহ নানান দোকানপাট। স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করলেই মনে হয় যেন কোনো ব্যস্ত হাটবাজারের দৃশ্য।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ভাড়া পরিশোধ করেই এসব দোকানে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, “আমরা নিয়মিত ভাড়া দেই, সবাই পায়—তাই কোনো ঝামেলা হয় না।” তবে ভাড়ার টাকা কারা পায় জানতে চাইলে তারা বলেন, “নেতারা, রেলের কিছু লোকজন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা”—তবে কারও নাম বা পদবী প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। স্টেশনের পাশের এক বাসিন্দা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, এই অবৈধ জুতার মার্কেট ঘিরে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রেলের কিছু কর্মচারী, জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ), স্টেশন মাস্টার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় মার্কেটটি পরিচালনা করেন। তিনি আরও বলেন, “এই মার্কেটের কারণে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা বেড়ে গেছে। স্টেশনের পরিবেশ একেবারে নোংরা হয়ে গেছে।”এ বিষয়ে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। এটা অনেক আগেই শুরু হয়েছে।” উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) জানান, “বিষয়টি আমাদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। এতে রেলের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাব।” স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, টঙ্গী রেল স্টেশনের এই অবৈধ মার্কেট শুধু রেলের রাজস্ব ক্ষতি নয়, বরং জননিরাপত্তা ও পরিবেশের জন্যও বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।