• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরের পূবাইলে ভূমিদস্যু মোঃ আলম শিকদার ও শাহাদাতের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি / ২৫৮ Time View
Update : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি :

 

গাজীপুর মহানগর ৪২ নং ওয়ার্ডের বিন্দান মৌজার বোরান গ্রামের ইব্রাহিম শিকদারের ছেলে মোঃ আলম শিকদার ও তার এক সহযোগী বোরান গ্রামের মুহাম্মদ শামসুল আলমের ছেলে শাহাদাত হোসেন এবং অবৈধ ওয়ারিশ সনদ তৈরীর মূল হোতা জয়দেবপুর উত্তর ছায়াবীথির নেপাল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ১(এক)একর২৩ (তেইশ)শতক জমি জবর-দখলের অভিযোগ উঠেছে ।জানা গিয়েছে জবর দখল পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ১৬ জনকে আসামি করে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (পূবাইল) আদালত, গাজীপুরে একটি চাঁদাবাজি মামলা অর্থাৎ সি,আর মামলা দায়ের করেছেন। যাহার সি,আর মামলা নং ২৯৭/২৫ । মামলার ৩(তিন) নং আসামি মোঃ জাকির সরকার ২২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে । চাঁদার টাকা না দিলে সুযোগ মতো পাইয়া তাকে খুন করে গুম করার হুমকি দিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। মোঃ জাকির সরকারের বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে ও পূবাইল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে কিন্তু তার ক্ষমতার কাছে প্রশাসন যেন অসহায়। মামলার ১(এক) নং আসামি আন্তর্জাতিক মানের বাটপার নেপাল চক্রবর্তী ও তার ভাই গোপাল চক্রবর্তী বিগত ১০/০২/২০১৩ তারিখে সিনিয়র সহকারী জজ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ অতিরিক্ত ট্রাইবুনালে অবৈধ ওয়ারিশ সনদ দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ১৪৮৭/১৩ । মামলার বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট ছিলেন লিটন কুমার সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাডভোকেট ছিলেন সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। মামলার সিনিয়র সহকারী জজ ছিলেন আ,স,ম শহীদুল্লাহ কায়সার। আদালতের সকলকে অন্ধ বানিয়ে অসৎ উপায়ে চঞ্চকথা করিয়া গোপাল চক্রবর্তী ও তার ভাই ইন্টারন্যাশনাল চিটার ও অবৈধ ওয়ারিশ সনদ তৈরির মূল কারিগর নেপাল চক্রবর্তী বিগত ২৯/০৮/২০১৩ তারিখে কার্যত এটি একটি দেওয়ানী মামলা মাত্র ছয় মাসের মধ্যে রায় ডিগ্রি প্রাপ্ত ও অবমুক্তি সম্পন্ন করেন। জানা গিয়েছে উল্লিখিত রায়ের বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে একটি ডিক্লিয়ারেশন মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং ১২১৬/২১ । অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ মামলায় জড়িত সকলের যোগসাজসে অল্প সময়ে রায় প্রাপ্ত হলেও মামলার তফসিলে ১৯২ আর,এস খতিয়ানে ১৩৯৯ দাগ উল্লেখ নাই। ইতিপূর্বে গাজীপুর আদালতে অবৈধ কাগজপত্র জমা, মিথ্যা সাক্ষী ও আদালতের সাথে প্রতারণার দায়ে নেপাল চক্রবর্তী দীর্ঘ দিন জেল কেটেছেন।অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে উভয় ওয়ারিশগণের পিতার নাম ফনীভূষণ চক্রবর্তী হলেও ঠাকুর দাদার নামে কোন মিল নাই। মোঃ বাছির উদ্দিনের জমি দাতাগনের ঠাকুর দাদার নাম মৃত মহিম চন্দ্র চক্রবর্তী এবং বিশ্ব বাটপার নেপাল চক্রবর্তীর দাদার নাম মৃত তারা কুমার চক্রবর্তী।মামলায় দুই ভাইয়ের নাম থাকলেও অবৈধ উপায়ে জমির মালিক সাজিয়া এবং অন্যের জমি নিজের বলে দাবি করা মালিক শুধুমাত্র নেপাল চক্রবর্তীর নিকট হইতে ভূমি দস্যুরা রেজিস্ট্রি বায়না নামা দলিল করিয়া নেন। যাহার দলিল নং ৭৭৮৭/২৫। যে দলিলে অবৈধ দাতা নেপাল চক্রবর্তী ও গ্রহীতা ভূমিদস্যু মোঃ আলম শিকদার ও শাহাদাত হোসেনের নাম রয়েছে।উল্লেখিত ১৯২ আর এস খতিয়ানের ১৩৯৯ দাগের জমি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে জবর দখল করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। আর এস পর্চা অনুযায়ী বিন্দান মৌজার আর এস ১৯২ খতিয়ানের ১৩৯৯ দাগের ১একর ৩১শতক জমির প্রকৃত মালিক মৃত ফনীভূষণ চক্রবর্তী। পিতা মৃত মহিম চন্দ্র চক্রবর্তী। বর্তমান ফনীভূষণের তিন পুত্র যথাক্রমে শংকর চক্রবর্তী, দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও ভাস্কর চক্রবর্তী ওয়ারিশ হিসেবে উক্ত জমির মালিক বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ ও ভোগ দখলে থাকা এবং বৈধ ওয়ারিশ হইতে প্রাপ্ত জমির মালিক মোঃ বাছির উদ্দিন ও তার পরিবারের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। জানা গিয়েছে এ ঘটনায় গাজীপুর আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা এবং ন্যায় বিচারের মাধ্যমে তাহার জমি ফিরে পাইতে সরকারের সাহায্য কামনা করছেন।


More News Of This Category
bdit.com.bd