অথই নূরুল আমিন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে খুবই কঠিন এক নির্বাচন। যা পরিচালনা করার মতো কোনরকম শক্তি বতর্মান উপদেষ্টাগণের নেই। তার প্রধান কারণ হলো রাজনৈতিক দলগুলার তৃণমূলের পেশিশক্তি ব্যবহার।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বেশকিছু রাজনৈতিক দল তারা ক্ষমতায় আসার এখন থেকেই মরিয়া হয়ে উঠছে। এখানে কথা থাকে যে, রাজনৈতিক দলগুলো পূর্বের আদর্শ থেকে সরে গেছে অনেকটাই। এখনকার নির্বাচনে কেন্দ্র দখল থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষকে জখম করা প্রতিপক্ষের নেতাকর্মী বা সমর্থকদের কে মারামারি খুন – খারাপি হবে প্রতিনিয়ত। ভোটের পরিবেশ নষ্ট হবে রাজনৈতিক দলগুলার অসৎ আচরণে যার ফলে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে। যার ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই তখন জনগণের কাছে হবেন বিতর্কিত। আর ভোটার উপস্থিতি যদি ২০% না হয় তাহলে সমগ্র বিশ্বজুড়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই হবেন বিতর্কিত।জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে হোক বা ২০২৬ সালের জুন মাসে হোক। এটা আসলে বড়ো কথা নয়। বড়ো কথা হলো, নির্বাচনের পরিবেশ সুস্থ এবং সুন্দর হওয়া জরুরি। এখন প্রশ্ন হলো : নির্বাচন সুন্দর এবং সুস্থ পরিবেশ হবে কিভাবে? আজকে আট মাসের বেশি সময় ধরে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীসহ দেশের সকল বাহিনী একযোগে কাজ করে যাওয়ার পরেও। সমাজে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এখানে শুধু সেনাবাহিনী বললেও ভুল হবে। তার কারণ সেনাবাহিনীরা কিন্তু এর মধ্যে ম্যাজেষ্টেটের ক্ষমতাও পেয়েছে। তারপরও কিন্তু সমাজে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি চোখে পরছে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বা স্থানীয় নির্বাচন যাই হোক না কেন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হবে। এটা একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়। যার ফলে নির্বাচন কমিশন থেকে এমন কিছু আইন এমন কিছু পদ্ধতি আবিস্কার করতে হবে যেন কোনোভাবেই কোনো দল বা গুষ্ঠি যেন পেশিশক্তি ব্যবহার করার সুযোগ না পায়। দেশের আপামর জনগণকে ভোট কেন্দ্রে আনতে হলে সবার আগে দরকার নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ। আর এই পরিবেশ সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক দল বা তাদের দেয়া প্রার্থীদের উপরে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা থাকা একান্তই জরুরি। নির্বাচনে যদি হাঙ্গামা হয়। কেন্দ্র দখল হয়। কোনো একক প্রার্থীর মার্কায় যদি নকল ভোট দেয়া হয়। তাহলে নির্বাচন হবে বিতর্কিত। আর বিতর্কিত নির্বাচনে কোনো দল যদি ক্ষমতায় আসে। তারা দেশের জন্য ভালো কিছু করবে। এমন আশা গুড়ে বালি। অথই নূরুল আমিনকবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী