ভূমি সেবা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সরাসরি ভূমি সেবা বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ দিতে এবং জনগনের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গ্রহণের জন্য ভূমি সেবা বিষয়ক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজীপুর সদর এর যৌথ আয়োজনে কার্যালয় চত্ত্বরে সকাল ১০ টায় এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ সরাসরি শোনা ও নিষ্পত্তি এবং দ্রুত মানসম্পন্ন সেবা দেয়ার জন্য প্রত্যেকটি ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেন গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও এলএ) মোঃ সোহেল রানা। এছাড়াও তিনি অসংখ্য সেবাপ্রার্থীর কথা সরাসরি শোনেন এবং তাদের সঠিক পরামর্শ দেন। প্রশ্নোত্তর ও গণশুনানি পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈন খান এলিস। তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় আমরা ভূমি সেবাকে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যাতে প্রতারিত না হন, সরকারি ভূমি অফিসে সঠিক ও দ্রুত সেবা পান সেই লক্ষ্যে এ আয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমি নিজে দুর্নীতিমুক্ত এবং আমার আওতাধীন সকল ভূমি সেবা সংশ্লিষ্ট কর্মীবৃন্দ কে দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করছি, আশাকরি তা সফল হবে। আমরা ইতিমধ্যে ভূমি অফিসের কার্যক্রম নিয়ে প্রচারণা করছি এবং সাধারণ মানুষের মতামত প্রত্যাশা করছি। গণশুনানিতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) গাজীপুরের সভাপতি যোবেদা আখতার। গণশুনানির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেন সনাকের ভূমি বিষয়ক উপ-কমিটি মো: হাসান আলী। সঞ্চালনায় টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর, সিভিক এনগেজমেন্ট আবুল ফজল মোহাম্মদ আহাদ। ডাটা এন্টি নিয়ে হয়রানি, জমি রেজিষ্ট্রেশনে (ট্যাক্স ফাঁকি) ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে হয়রানি বন্ধে গাজীপুরের বাসিন্দা দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও মেহেদী মাসুদ, শামসুল হক, ফিরোজ কবির ও দেলোয়ার হোসেনসহ সেবা প্রার্থীরা ভূমি সমস্যার সমাধান পেতে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের কানুনগো আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (নাজির) মোঃ বদরুজ্জামান ইমন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর দীপঙ্কর চন্দ্র দাসসহ গণশুনানিতে আগত সেবা প্রার্থী ও ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। ভূমি সেবা গ্রহনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিলম্বিত ভূমি সেবা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব ইত্যাদি নিয়ে জেলার ৪৬টি ভূমি অফিসের ৩৮টি ভূমি অফিসের ঘুস লেনদেনের তথ্য পান। তাই ভূমি সেবার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের মাধ্যমে ভূমি সেবার মানকে আরো সমৃদ্ধ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।