টুটুল তালুকদার, গাজীপুর :
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সেলদিয়া গ্রামে শুক্রবার দুপুরে মাদকাসক্ত এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মো. নূরুল আমীন (১৯) ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বাবুল হোসেন জানান, নূরুল আমীন কয়েক বছর ধরে মাদকাসক্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতে তিনি বাড়ির আশপাশের গাছপালা, পরিবারের জিনিসপত্র ও কাপড়চোপড় বেচে দিতেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। সামনে যা পেতেন তা ভাঙচুর করতেন। বাবা-মাকে মারধর করতেন। শাহজাহান জানান, নূরুল আমীনকে দুই দফায় প্রায় তিন মাস মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে রাখা হয়। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে আবার মাদক সেবন শুরু করেন। শুক্রবার সকালেও মাদক কিনতে দুই হাজার টাকা চান। গালাগাল করতে থাকেন। বড় ভাই বাড়িতে এসে তাঁকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে ঘরে আটকে রাখেন। পরে দুপুরের দিকে ঘরে গিয়ে তাঁকে মৃত দেখতে পান। কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। এদিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটের নিচ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শামসুল আলম জানান, হাসপাতালের লিফটের নিচে লাশ ছিল। সকাল ১১টায় গিয়ে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। লাশের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন এবং কিছু কাগজপত্র পেয়েছেন। হাসপাতালের পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। অন্যদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার পূর্ব-ফরহাদাবাদ গ্রামে পুকুর থেকে শুক্রবার মো. এনামের (৬২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের ভাষ্য, রাতে এনামকে মারধর করে পুকুরে ফেলা হতে পারে। ফটিকছড়ি থানার ওসি নূর আহমদ বলেন, ঘটনার পরপর অভিযুক্ত ছেলে মোবারককে এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে নিহতের স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালককে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।