• সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গাজীপুরে বর্জ্য অপসারণ ও খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জিসিসি প্রশাসক গাজীপুরে বর্জ্য অপসারণ ও খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জিসিসি প্রশাসক ঈদের হাসির ভিড়ে নিঃশব্দে কাঁদে বুক মা-হারা শূন্যতা”মা-হারা ঈদ: হৃদয়ে শুধু কষ্টের বাহার মা-হারা ঈদ: দুই ভাইয়ের চোখে শুধুই শূন্যতা কষ্ট আনন্দের ভিড়ে হৃদয়ে বাজে না পাওয়ার বেদনা পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে গাজীপুর মহাসড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে জিএমপি কমিশনার। বাসন থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ গাজীপুরে শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালন গাজীপুর মহানগর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় সভা মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের অভিযান; চিহ্নিত মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার ২৫ আওয়ামী লীগের জয় বাংলা ব্রিগেডের সদস্য মেশকাত হোসেন বাক্কা গ্রেফতার

গাজীপুরে বর্জ্য অপসারণ ও খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জিসিসি প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক / / ৪৪ Time View
Update : রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কোরবানীর ঈদের বর্জ্য অপসারণ ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিভিন্ন খাল খনন কর্মসূচি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি রোববার (৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এসব কর্মসূচি পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পবিত্র কোরবানীর ঈদের বর্জ্য অপসারণে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৩দিনের বিশেষ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ঈদের দিন দুপুর থেকে অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ইতিপূর্বে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি খাল পুনরুদ্ধার ও খনন কার্যক্রম শুরু করা হয়। ঈদের পরদিন সরকারী ছুটির দিনেও এসব কাজ চলমান রয়েছে। সূত্র জানায়, এসব কার্যক্রম সরজমিনে দেখতে রোববার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর আসেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি মহানগরী টঙ্গী এলাকায় খাল পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি গাজীপুরা বাশপট্টিতে দখলকৃত খাল/নালার উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর বনমালা রোডের সম্প্রসারণ কাজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করতে করতে মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় মোঘর খাল খনন ও পরিস্কার কার্যক্রম দেখতে আসেন। এসময় তিনি খাল খনন ও পরিস্কার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পুনরায় খালটি যাতে বেদখল না হয় এবং ময়লার সাথে অপচনশীল দ্রব্য জমে বা পানিতে আটকে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে না যায়- এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। এ সময় প্রশাসক বলেন, খালের আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ বাজারসহ অন্যান্য এলাকায় প্রয়োজনে স্থানীয়দের নিয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া, যাতে করে তারা বর্জ্য সরাসরি খালে না ফেলে খালের আশেপাশে কোথাও নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবে এবং পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশন সেসব বরজ্য তুলে নিয়ে ডাম্পিং পয়েন্ট ফেলবে। এজন্য, তিনি স্থানীয় সচেতন সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। পরে জিসিসি প্রশাসক মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ড্রেন সংস্কার ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় দেখা যায়, মহাসড়কের পূর্বপাশের ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে ড্রেনের উপর তাদের সুবিধামতো স্লাব নির্মাণ করে এবং ড্রেনের মধ্যে পলিথিন-প্লাস্টিকসহ অপচনশীল বর্জ্য ড্রেনটিতে ফেলেছে। এসব অপচনশীল বর্জ্য ড্রেনে জমে ড্রেনটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে বৃষ্টি হলে মহাসড়কের পানি নামতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। দূর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। আরো দেখা যায়, ড্রেনটিকে সচল করার জন্য সিটি করপোরেশন ভেকু দিয়ে ড্রেনের উপরের স্লাব ভেঙ্গে ড্রেনের ভিতরের সকল বর্জ্য তুলে ড্রাম ট্রাকে করে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। যাতে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে পারে। এ সময় প্রশাসক বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের আরো অনেক বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমরা ড্রেন পরিস্কার করে দিলাম, আবার যদি এখানে অপচনশীল ময়লা ফেলে এটি বন্ধ করে দেয়, তাহলে আবারও আমাদের একইভাবে কার্যক্রম করতে হবে। কিন্তু এই লুকোচুরি না করে তিনি আশেপাশের ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য সচেতন মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আমরা সচল করে দিচ্ছি এবং আশা করি এর ফলে চৌরাস্তা এলাকায় জলাবদ্ধতা ও যানজট, সেটি আর থাকবে না। তিনি আরো আশা করে, এরপর থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এবং অন্যান্য লোকজন তাদের সৃষ্ট বর্জ্য মহাসড়কে না ফেলে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় ফেলবে এবং সিটি কর্পোরেশন সেগুলো তুলে নিয়ে যাবে। এতে ড্রেনটি যদি সচল থাকে, তাহলে সকল স্থানীয় মানুষই উপকার ও সুবিধা ভোগ করবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। পরে তিনি চন্দনা চৌরাস্তার পূর্ব পাশে সাবেক বাসন ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের জায়গাটুকু পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জানান, এখানে সিটি কর্পোরেশনের একটি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এখানে একটি বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করা হবে। সেখানে আঞ্চলিক স্থানান্তর করা হবে ও পাশাপাশি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ভাড়া দেওয়া হবে। এ সময়, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, সিটি কর্পোরেশনের সচিব আমিন আল পারভেজ, প্রধান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সোহেল রানা, জিসিসি প্রশাসকের পিএস আল মামুন, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোতাসিম বিল্লাহ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন ও রাকিবুল হাসান রাসেলসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।


More News Of This Category
bdit.com.bd