গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুর মহানগরের পূবাইলের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ সরকারের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ স্যাটেলাইট চ্যানেল আনন্দ টেলিভিশনে করায় ওই টিভি চ্যানেলের গাজীপুর প্রতিনিধি মোঃ শাকিলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন নগরীর পূবাইল থানায়, সেই অভিযোগ ও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকরি করা ইউএনও এর সুষ্ঠ তদন্তের দাবি ও প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন গাজীপুরের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট সাংবাদিকরা।রবিবার (৪ মে) সকাল ১১ ঘটিকায় গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গাজীপুরের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রায় ২/৩ শত সাংবাদিকের উপস্থিতে এ মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা হয়, মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকেরা মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত অভিযোগ প্রত্যাহার করার দাবি করেন। সাংবাদিকরা এই ঘটনাকে মুক্ত গণমাধ্যম, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং সত্য ও বস্তুুনিষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত করা হয়েছে বলে দাবি করেন।মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, আনন্দ টিভি গাজীপুর প্রতিনিধি মোঃ শাকিল একজন পেশাদার ও সাহসী কলম সৈনিক। সম্প্রতি তিনি পূবাইলসহ গাজীপুর অঞ্চলের বিভিন্ন অপরাধ, অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র অনুসন্ধান করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আকার আনন্দ টেলিভিশনের মাধ্যমে জনসম্মুখে তুলে ধরেছেন। জনস্বার্থে প্রকাশিত এই তথ্য নির্ভর প্রতিবেদনগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জের ধরেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল শাকিলের কণ্ঠরোধ করতে প্রতিহিংসার পথ বেছে নিয়েছে এবং পুবাইল থানায় তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, শাকিল কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করেননি। তিনি সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার থেকেছেন। তার সাহসিকতা, দায়িত্ববোধ ও জনসেবামূলক মনোভাব সকল সাংবাদিকের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তারা আরও উল্লেখ করেন, অপরাধের বিরুদ্ধে লেখা তার প্রতিবেদন এখন চক্রান্তকারীদের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন নির্ভীক সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ করার এই অপচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না এবং যারা আইনের অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের হয়রানি করছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। মানববন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিক সমাজ অবিলম্বে সারাদেশের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও শাকিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। একই সাথে, তারা এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের কুচক্রীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা কখন কোথায়, কার তত্বাবধানে, তার কমান্ডারের নাম কি, কোন সেক্টরে কিভাবে যুদ্ধ করেছে তা সে অনায়াসে বলতে পারে, কিন্তু রউফ তার কিছুই বলতে পারে না। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহকারী কমান্ডার বলেন গত সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনুষ্ঠান থেকে আমি রউফসহ তার স্ত্রীকে বের করে দিয়ে বলেছিলাম আপনারা এই অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। কারন রউফ কোন মুক্তিযোদ্ধা না। আর এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন আব্দুর রউফ সরকার একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং তিনি কখনোই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। এই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে