• বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ বিজিবির পা ধরে ক্ষমা চাইলেন বিএসএফ। মরহুম আলহাজ্ব অধ্যাপক এম এ মান্নান স্যার এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে বাসন মেট্রো থানা বিএনপি পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ শুরু বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে গাজীপুর সিটির প্রথম মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ বিদ্যুত চাকমা নামক এক সন্ত্রাসী আটক জয়পুরহাটে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি জয়পুরহাটে বাহাসের চ্যালেঞ্জকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন এরশাদ নগরের মাদক সম্রাজ্ঞী পারুল ও তার স্বামী মানিক মিয়া গ্রেফতার নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৩ জন সদস্যসহ ৮ জন গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ভুল বানানের ছড়াছড়ি, বাদ যায়নি বাংলা একাডেমিও

Reporter Name / ৪০৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মোঃ সাবিউদ্দিন: বিসিএস সহ নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করার একমাত্র দায়িত্বভার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের। প্রতিষ্ঠানটি বিসিএস পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটলেও সাইনবোর্ডে নিজের নামে ভুল বানান বয়ে বেড়াচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

বাংলা একাডেমি রচিত বাংলা বানান অভিধান অনুযায়ী সারকারি শব্দটি ই-কার (ি-কার) দিয়ে ব্যবহার করার কথা থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ব্যবহার হচ্ছে ঈ-কার (ী-কার) (সরকারী)। যদিও ওয়েবসাইটে ঠিকই প্রতিষ্ঠানটির নাম ি-কার দিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন লেখা রয়েছে।

ওদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাইরের সাইনবোর্ডে একাডেমি শব্দটিতে বাংলা বানান অভিধানের আলোকে একডেমি লিখলেও ভেতরের সাইনবোর্ডগুলোতে এখনও ী-কার দিয়ে লেখা রয়েছে একাডেমী।

শুধু এই দুই প্রতিষ্ঠানই নয়, খোদ উচ্চ আদালতও বয়ে বেড়াচ্ছে ভুল বানান। প্রতিষ্ঠানটির সাইনবোর্ডে সুপ্রীম কোর্ট লিখেছে ী-কার দিয়ে। যদিও বাংলা বানান অভিধান অনুযায়ী বিদেশি শব্দ হিসেবে লিখার কথা ছিল ‘সুপ্রিম কোর্ট’।

ভুল বানানের নামে পরিচিত হচ্ছে নোয়াখালী সরকারি কলেজসহ জাতি গড়ার বহু সূতিকাগারও। কিছু প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের নাম ঠিক হলেও ওয়েবসাইটে রয়ে গেছে ভুল, কারো আবার ওয়েবসাইট ঠিক থাকলেও লোগেতে ভুল। সরকারি যানবাহন অধিদফতর তাদের সাইনবোর্ড ঠিক করলেও এখনও ওয়েবসাইটে সরকারী লেখা রয়েছে ী-কার দিয়ে। একই অবস্থা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে। সরকারি বিভিন্ন বিদ্যুৎ-গ্যাস কোম্পানিও এখনও নিজেদের নাম লিখতে কোম্পানী লিখছে ী-কার দিয়ে। শুধু সাইনবোর্ড নয়, সরকারি নানান পত্রেও প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে বাংলা ভুল বানানের ছড়াছড়ি। যাকে শহীদের রক্তে অর্জিত মাতৃভাষার অবমাননা বলে মনে করেন সচেতন মানুষ।

যদিও ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর সরকারি কাজে বাংলা একাডেমির নির্ধারিত বানান অনুসরণ করতে একটি বিশেষ অনুশান জারি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে এই অনুশাসন বাস্তবায়ন সব মন্ত্রণালয়কে দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছিল। সেই অনুশাসনে একাডেমি ও সরকারিসহ বিভিন্ন প্রচলিত ভুল বানান চিহ্নিত করে দিয়ে তা সংশোধন করতেও বলা হয়। কিন্তু এক যুগেও বাস্তবায়ন করা যায়নি এই অনুশাসন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সরকারি চাকরিপ্রার্থী আফিয়া আঞ্জুম বলেন, চাকরির পরীক্ষাগুলোতে ভুল বানানের জন্য নম্বর কাটা হয়। এজন্য আমরা অভিধানকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ি। কিন্তু অভিধান পড়লেও চোখের সামনে দেখা অনেক ভুল মনে থেকে যায়। যার কারণে অনেকসময় ভুলও হয়। এজন্য সঠিক বানান নিশ্চিতে বাংলা একাডেমির কাজ করা উচিত।

সাকিব হাসান নামে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন তাদের সাইনবোর্ডে একটা লিখেছে ওয়েবে লিখেছে আরেকটা। আর্থাৎ তারা নিজেরাই যেন সন্দিহান। এত বছরেও নিজের প্রতিষ্ঠানের নামের বানান ঠিক করতে না পারা এই প্রতিষ্ঠানটির অন্তত চাকরিপ্রার্থীদের বানান ভুল দেখা বেমানান।


More News Of This Category
bdit.com.bd