গাজীপুর প্রতিনিধি, সজীব হোসেন :
গাজজীপুর এ চাঁদার দাবিতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে মাথা ১৮খন্ডে করেছে। দীর্ঘ প্রায় ৩৫ দিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পর গত বুধবার রাতে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের নাম মোঃ নাসির উদ্দিন পালোয়ান গত ২৭ মে রাতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানার জরুন এলাকায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় একই পরিবারের আরো ছয় জন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় কোনাবাড়ী থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার ওয়াসিফ সালিমকে ২২ প্রধান আসামি করে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই দিকে বৃহস্পতিবার বিকালে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী। বাদ মাগরিব নাসির পালোয়ানের জানাজার নামাজে মানুষের ঢল নামে আসে। এ সময় শত শত মানুষের অংশগ্রহণে জরুন ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ওই এলাকায় ওয়াসিফ সালিমের নেতৃত্বে একটি দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। ৩০–৪০ জনের কিশোর গ্যাং সদস্যরা গত ২৭ মে রাতে নাছির পালোয়ানের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। হামলায় নাছির পালোয়ান ছেলে আক্তার পালোয়ান ৫৬ লুৎফর রহমান পালোয়ান ৫০ শাহ আলম পালোয়ান ৪৫ পুত্রবধূ নাজমা বেগম ৫০ নাতনি শারমিন ২৭ পুতি শাহরিয়ার ১৫ গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। পরে বৃদ্ধ নাসির পালোয়ানকে আসঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা হস্তান্তর করা হয় । নাসির পালোয়ানকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রথমে আইসিইউতে ও পরে লাইফ সাপোর্টে ৩৫ দিন রাখার পর গত বুধবার রাতে তিনি মারা যান। চিকিৎসকের উৎবৃত্তি অস্ত্রপাচার ছবি দেখিয়ে নিহতের ছেলে শাহ আলম জানান সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে তার বাবার মাথার খুলি ১৮ খন্ড করেছে। মাথার খুলি অস্ত্রপ্রচারের পর প্রথমে তাকে আই সি ইউ তে ও পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও তার বাবাকে বাঁচানো যায় নাই। তিনি অভিযোগ করেন ঘটনার পর কোনাবাড়ি থানায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে ঘটনার প্রায়ই একমাস পর গত ২৬ শে জুন কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা রেকর্ড করে,কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে ধরা হয়নি।