অথই নূরুল আমিন, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার ছয়গাঁও গ্রামে ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ সালে এক ধনাঢ্য খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মো: আব্দুল হক খান (হক সাহেব) এবং মাতা নুরজাহান তালুকদার। লেখালেখির জীবনে তিনি একজন বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক, দেশের প্রভাবশালী কলামিস্ট এবং সমাজ সংস্কারক হিসেবে খ্যাত। সাহিত্য অঙ্গনে তাঁর অবদান অত্যন্ত অসামান্য; কবিতা, ছড়া, গল্প, বাণী, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কৌতুক, এবং রূপকথার গল্প “অনূআর ঝুলি” সহ হাজারো সিরিয়াল লেখা ছাড়াও তিনি সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত। তিনি জীবনবার্তা বিদ্যালয় নামে একটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। নব্বই দশকের মানবতার কবি এবং মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নব্বই দশক থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের শতাধিক জাতীয় দৈনিক, অনলাইন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকায় সাহিত্যের প্রায় সব ধরনের লেখালেখি করেছেন। এছাড়া, তিনি সারাদেশের দু’শতাধিক পাঠাগারে সৌজন্য বই উপহার দিয়ে ‘পাঠাগার বন্ধু’ এবং ‘শিক্ষা বন্ধু’ উপাধি লাভ করেছেন। লেখকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী: ১. প্রধানমন্ত্রীর মানবসম্পদ উন্নয়ন উপদেষ্টা (সমালোচনা গ্রন্থ) ২. অগ্নিচিঠি (মুক্ত গদ্য) ৩. সোনালি স্বপ্ন (কাব্যগ্রন্থ) ৪. মন আর মানুষ (কাব্যগ্রন্থ) ৫. অথই গীতি (পঞ্চরসের গানের বই) ৬. অষ্টশ্রম (কাব্যগ্রন্থ) ৭. বাণী সুন্দর (উপদেশমূলক লেখা) ৮. ৫২ বছরে তেপ্পান্ন গল্প (আত্মজীবনীমূলক) ৯. শ্রেষ্ঠ কবিতা সমগ্র ১০. অনূআর ঝুলি (শিক্ষামূলক রূপকথার গল্পের বই) সহ অসংখ্য গ্রন্থের রচয়িতা। সমাজচেতনা ও রাষ্ট্রচিন্তা: তাঁর রচিত “আমার যুদ্ধ কলমে” গ্রন্থটি সমাজ চেতনা, রাষ্ট্র গঠন, বেকারত্ব নিরসন, রাজনীতির উত্থান-পতন এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণমূলক লেখা। সমগ্র বইটির মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন এবং রাষ্ট্র গঠনের পথনির্দেশনা উঠে এসেছে, যা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে কাজ করবে। এক কথায়, এটি ২.০ সমমনা লেখার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁর লেখালেখি এবং মানবিক কাজের জন্য তাকে সম্মানিত করা হয়েছে এবং সর্বস্তরের পাঠকদের কাছে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা এবং আলোকিত কবি হিসেবে পরিচিত। আমরা তাঁর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি এবং তাঁর এই অমূল্য অবদানকে সার্বিকভাবে স্বীকৃতি দিই।