অথই নূরুল আমিন
বাংলাদেশের বিগত সরকার গুলো যেখানে জনগণের মাথায় কাঁঠাল রেখে খেয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশের জনগণ অতিতের সরকার গুলোর কোনো ইতিহাসই তারা তেমন মনে রাখেনি। জনগণের উপরে ভ্যাট ট্যাক্স চাপিয়ে, নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে যদি বতর্মান সরকার ও চলতে চায়। তাহলে এর ফলও ভালো হবে বলে আমি মনে করি না। গত তিন মাস পূর্বে বর্তমান সরকার হঠাত করে কোনরকম কোনো বাজেট ছাড়াই, প্রতিটা সিগারেটের মূল্য অতিরিক্ত দুই টাকা বৃদ্ধি করেছে। যা সম্পূর্ণ অমানবিক হলেও জনগণ কিছু মনে করেনি। যেহেতু এটা একটা বদঅভ্যাস তাই। লক্ষ্য করে দেখা গেছে দেশের সিংহভাগ জনগণ ধুমপান করে থাকে। দেশের বিশ কোটি জনগণের কাছে সিগারেট কোম্পানি গুলো প্রায় একশ কোটি সিগারেট প্রতি চব্বিশ ঘন্টায় বিক্রি করে থাকে। এখানে সরকার প্রতি চব্বিশ ঘন্টায় দুইশ কোটি টাকা পাচ্ছে। ঐ টাকা দিয়ে রমজান মাসের পণ্য নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে । যেমন আলু,পেয়াজ,রসুন, আদা তেলসহ বেশকিছু পণ্য মনে করুন এরকমই আমি মেনে নিলাম। এখন আবার শোনা যাচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা লিটার, পাপ ওয়েল ১২ টাকা এবং গ্যাস ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বতর্মান সরকার। এদিকে ধীরে ধীরে আলু,পেয়াজ,রসুন,আদার দাম অল্প অল্প করে বাড়তে শুরু করেছে। এরকম হতে থাকলে বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জনপ্রিয়তা কমে আসবে শূন্যের কোটায়। কারণ হলো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হলে বাংলাদেশের জনগণ সরকারকে বিশ্বাস করতে পারে না। জনগণ মনে করে। এগুলো সব সরকারের চালাকী। সরকার দুর্নীতি করছে বলে সমাজে সমালোচনা হতে থাকে। হাটে বাজারে চায়ের দোকানে। আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় দোষ ছিল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করন। আওয়ামী লীগ সরকার যখন তখন বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়ার কারণে সাধারণ জনগণের এই আওয়ামী লীগের প্রতি ঘৃণার জন্ম হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি জনগণের আর কোনো ভালোবাসা ছিল না। কারণ সাধারণ জনগণের সাধারণ আয় রোজগার দিয়ে চলতে যখন কষ্ট হবে। তখন যে সরকারই থাকুক না কেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে যাবে। এটাই চিরন্তন সত্যি। তখন সরকার যত কথাই বলুক। বিদেশী হাসপাতাল, বিদেশী বিনিয়োগ, বিদেশী দান অনুদান ইত্যাদি ইত্যাদি। জনগণ আর তাদের কোন কথাই বিশ্বাস করবে না। আমি মনে করি। সরকারের প্রতি মাসে যত টাকা খরচ হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাসহ। ঠিক তার অর্ধেক টাকা সরকারের নিজস্ব আয় থাকা একান্ত প্রয়োজন। যতদিন পর্যন্ত এরকম সুযোগ সুবিধা সরকার করতে না পারবে। ততদিন পর্যন্ত সরকার চলতে গিয়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতেই হবে। আর জনগণের রোষানলে পরতেই হবে । কথা থাকে যে। তিনশ এমপি, কয়েক ডজন মন্ত্রী, হাজার পাঁচেক জনপ্রতিনিধি নিয়ে রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে সরকারের যত টাকা মাসিক ব্যয় হয়। বতর্মান সরকারের ব্যায় তো তার অর্ধেক।