অথই নূরুল আমিন
যে কাজ থেকে এই প্রথম বাংলাদেশ সরকার অথবা চুক্তি ভিত্তিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে পাবে কোটির বেশি টাকা। বিগত সরকার গুলো রাষ্ট্রীয় যা কাজ করেছে। তার ৯৮% জলে ফেলেছে। যার জন্য প্রবাদ এসেছে। সরকারের মাল দরিয়ায় ঢাল। প্রথমে সমগ্র ঢাকা শহরকে ১২ ভাগে ভাগ করা হবে। এখানে শহরের প্রায় প্রত্যেক রাস্তা বা ফুটপাতের দোকানের জন্য “বিল গ্রিল সিস্টেম” স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা করা হবে। শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য জায়গায়। শহরের সারাদিনের আবর্জনা সরাতে পাঁচ হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। যানজট নিরসনের জন্য সমগ্র ঢাকা সিটিকে ১২ ভাগে ভাগ করে। “বোডিং বোট সিষ্টেম” নগরায়ন ওভার স্টং হাইওয়ে রাস্তা তৈরি করা হবে। যার গঠন থাকবে একেক রাস্তায় একেক রকম। তার স্থান এবং চওড়ার উপর নির্ভরশীল। লক্ষ্য করে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের যানজট যেন আড়াই কোটি ঢাকাবাসী এবং প্রতিদিন মফস্বল থেকে আসা বিভিন্ন কারণে, পঞ্চাশ লাখ মানুষের জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে । একঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগে তিন ঘন্টা। যার ফলে সিএনজি ভাড়া বেশি দিতে হয় যাত্রীদের । লেগুনা ভাড়া এমনকি রিকশা ভাড়াও এই যানজটের জন্য বিশ টাকা থেকে আশি টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হয় সকল যাত্রীকে।এছাড়া যারা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকায় অফিস করেন বা ব্যবসা করেন। তাদের ও একশ টাকা থেকে শুরু করে তিনশ টাকার সমমান তেল বেশি ব্যয় হয়ে থাকে। আর সময় তো নষ্ট হচ্ছেই। এদিকে ঢাকার পাইকারি বাজার গুলোতেও বাণিজ্য কম শুধুমাত্র এই যানজটের জন্য। যানজটের ভয়ে অনেক ব্যবসায়ী ঢাকায় না এসে তাদের সুবিধামত স্থান থেকেই মার্কেট করে চলে যান। এদিকে এই যানজটের জন্য ওভার চালক থেকে শুরু করে, ঢাকা শহরের সিএনজি লেগুনা এবং রিকশা সবাই আর্থিকভাবে সংকটে আছে। এছাড়া শহরের ধুলা বালুতে সকলের জন্য রোগের সৃষ্টি হচ্ছে আমার পদ্ধতি মতে যানজটের সাথে কমে অপরিচ্ছন্নতার কারণে মশার উৎপত্তি সবসময় থাকে এমনকি ডেঙ্গু পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। শহরের ফুটপাতের অগ্রগতি ক্ষুদ্র দোকানের চরম অবহেলার জন্য বিভিন্ন কাগজ এবং পলিথিন সীমাহীন রাস্তার উপরে জমা হয় যা দেখার কেউ নেই । তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই পলিথিন কাগজ বা অন্যান্য পদার্থর জন্য রাস্তায় পানি জমে যায়। তখন শহরবাসীরা দুর্ভোগে পরেন। যার জন্য শহরের ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যার ফলে শহরের ফুটপাত থাকবে পরিস্কার। অন্য দিকে শহরের সীমাহীন গাড়ি থাকাতে হর্ণর শব্দে শব্দ দোষণ হচ্ছে মারাত্মক ভাবে। যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মারাত্মক ভাবে লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরের যানজট ৫০% কমিয়ে আনতে হবে। শহরকে বসবাসের যোগ্য করতে হলে। বতর্মানে ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য প্রায়। তাই যানজট নিরসন ও পরিচ্ছন্ন পরিচালক কে সরকারের সহযোগিতা করতে হবে মনে প্রানে। এক বছর থেকে দেড় বছরের ভিতরে জনগণ বুঝতে পারবে, যানজট কমতে শুরু করেছে। এবং পাঁচ বছরের ভিতরে ঢাকা শহর হবে একটি শান্ত শহর। এবং বিশ্বে উন্নত শহরের গননায় সন্তোষজনক তালিকায় নাম আসবে বলে আমার বিশ্বাস। ইনশাআল্লাহ।অথই নূরুল আমিন কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্রচিন্তক