• বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সরকারি অনুদানের নামে লাখ টাকা আত্মসাত গাজীপুর মহানগরের বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরকে বহিষ্কার চাঁদা দাবি ও চাঁদা গ্রহণের অভিযোগে ৬ চাঁদাবাজ গ্রেফতার গাজীপুর সদর উপজেলার নবগঠিত জাতীয়বাদী দল বিএনপি ‘র আহবায়ক কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান গাজীপুর সদর উপজেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ। গাজীপুরে অপসাংবাদিকতার অভিযোগ মিলছে মোঃ আব্দুর রশিদ মোল্লার নামে গাজীপুরে দিনভর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রশাসক গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার গাজীপুরে বিএনপির সাবেক নেতা স্বপন গ্রেপ্তার মা আর নেই” — আজ তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী সাংবাদিক আলমগীর হোসেনের মমতাময়ী মা ফরিদা বেগম স্মরণে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধনবাড়ী উপজেলা ও পৌর শাখার বর্ধিত সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত

৮ প্রহর ব্যাপী অখন্ড, শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান

Reporter Name / ৫৯৩ Time View
Update : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার(ফুলবাড়িয়া): টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা থেকে ২৬ কিলোমিটার পুর্বে ধলাপাড়া ইউনিয়নে ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় রাধা কৃষ্ণের ভক্তদের পুণ্যস্থান “গুপ্ত বৃন্দাবন” (Gupta Brindaban) নামক গ্রাম অবস্থিত।

এখানে প্রতিবছর চৈত্র মাসের ১২ তারিখ প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো একটি কালো তমাল গাছকে কেন্দ্র করে জমজমাট বারুনি মেলার আয়োজন করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও এই উৎসবে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে সকল ধর্মের দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে।

গুপ্ত বৃন্দাবন গ্রামের নামকরণ এবং তমাল গাছটিকে ঘিরে নানান কল্পকথা প্রচলিত আছে। এলাকার স্থানীয় হিন্দু, আদিবাসি ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করেন, মধুরায় শ্রীকৃষ্ণের উপর কংশ রাজার অত্যাধিক অত্যাচারের কারনে রাধা এবং ১৫০০ জন গোপিনীকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ পালিয়ে আসেন। এই ঘটনার কারণে স্থানটি গুপ্ত বৃন্দাবন নামে পরিচয় লাভ করে।

তবে ইতিহাস হতে পাওয়া তথ্য মতে, এই জায়গার পূর্ব নাম বৃন্দাবন। গুপ্ত বংশীয় বিভিন্ন নিদর্শন এই স্থান হতে প্রাপ্তির ফলে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক ১৫৭৭ সালে জায়গাটির নাম দেন গুপ্ত বৃন্দাবন।

আর রাধা কৃষ্ণের ভক্তরা বিশ্বাস করে, গুপ্তবৃন্দাবনের তমাল গাছের ডালে রাধা কৃষ্ণ দোল খেতেন ও অভিসারে মিলিত হতেন।

তমাল গাছের উত্তর পাশে একটি রাধাগোবিন্দ মন্দির রয়েছে। এছাড়া এখানে আরো আছে বিভিন্ন প্রাচীন মূর্তি ও মন্দির। প্রতিবছর বাংলা সনের চৈত্র মাসে এখানে বাৎসরিক মেলা ও কীর্তনযজ্ঞের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রাকৃতিক পরিবেশের আবহ থাকায় আগে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম লীলার স্মৃতি কল্পনা করা যেত। ঐতিহাসিক এই তমাল গাছ রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি এখানকার সেই প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি তাদের।


More News Of This Category
bdit.com.bd