মোহাম্মদ রুস্তম আলী,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কিশোরী (১৬)কে ধর্ষণের অভিযোগে মাহফুজ মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী নয়াহাটি এলাকার রবিকুল মিয়ার ছেলে। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকালে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী। এ ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত আসামি হলেন, বাঁশগাড়ি এলাকার রহিম মিয়ার ছেলে জীমন মিয়া। পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্ত মাহফুজ ও তার বন্ধু জীমন বেশ কিছুদিন যাবত প্রতিবেশী এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতো। গত বছর ৩ অক্টোবর বাড়ির পাশে কল পাড়ে মাহফুজ মিয়া তার বন্ধু জীমনের সহযোগিতায় কিশোরীর বাড়ির পেছনে নিয়ে মুখে কাপড় বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে৷ এছাড়াও ধর্ষণের সময় মুঠোফোনে বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে অভিযুক্ত মাহফুজ আরও বেশ কয়েকবার বার ধর্ষণ করে। এতে সহজ সরল কিশোর অন্তসত্তা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় দুইজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মাহফুজ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত জিমন মিয়া পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগকারী পিতা বলেন, মাহফুজ ও জীমন আমার মেয়ের বেঁচে থাকা কঠিন করে দিয়েছে। আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় মাহফুজ ধর্ষণের হুমকি দেয়। পরে কৌশলে একাধিকবার ধর্ষণ করে।বর্তমানে আমার নাবালিকা মেয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার পেতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি মাহফুজ ও তার বন্ধু জীমনের দৃষ্ঠান্তমুলক বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্তের পরিবারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে, তারা কেউ এ বিষয় কথা বলতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।