অথই নূরুল আমিন
বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। আমরা যুগ যুগ ধরে শুধুমাত্র শুনেই আসছি। কিন্তু সেই সম্ভাবনার কোনো সম্ভাবনাই আজও এই জাতি উপলব্দি করতে পারেনি। চুয়ান্ন বছরেও দেশের বড় একটি অংশ আজও যেন তারা পরাধীন এরকমটাই মনে করছে অনেকেই। বিশেষ করে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে রয়েছে অনেক বড় বৈষম্য। যা টকশোতে তেমন আলাপ হয় না। যা নিয়ে বিগত সময়ে সংসদ অধিবেশনে কোনো এমপি আলোচনা পর্যন্ত করতেন না। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এতটাই মন্দ হয়েছে যে এখানে শিক্ষার আর কোনো পরিবেশ বিরাজ করছে না বা এত শ্রেণিভেদে এখানে চরম বৈষম্যমূলক করা হয়েছে যে, যার ব্যখ্যা খুব সহজে দেয়া খুবই কঠিন। আমি মনে করি দেশের সকল শিক্ষাব্যবস্থা হোক অবৈতনিক। সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হোক প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খরচ। প্রয়োজনে শর্ত সাপেক্ষে মাষ্টার্স পর্যন্ত ও হতে পারে। তাহলে দেশের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণে যেমন হবে অধিক আগ্রহী, তেমনি সমাজে আসবে শৃংখলা। শিক্ষায় ধিক্কায় দেশ আরো সামনে এগিয়ে যাবে দ্রুত। এখন প্রশ্ন হলো, সরকার কি করে বা কিভাবে এই আড়াই কোটি শিক্ষার্থীদের কে সরকারের উদ্যোগে লেখাপড়া করাবে। এটা পাহাড় সমান একটা বুঝা সমতুল্য। আমাদের দেশের খালি, সরকার তো মাঝে মাঝে শিক্ষকদের বেতন ভাতাই দিতে অক্ষম হয়ে যায়ষ। কয়েকদিন পর পর শিক্ষকদের আন্দোলন দেখি।এই চাই সেই চাই । কথা ঠিক আছে। এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে। সরকারের সিষ্টেমটাই ভুল আছে চুয়ান্ন বছর ধরে। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই দেশের সবগুলো মন্ত্রণালয় থেকে অদক্ষ। তাই শিক্ষা নিয়ে আমরা খুব বেশি দূর যেতে পারিনি আজও। শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করতে গিয়ে সরকারও এখানে কোনো মেধা প্রয়োগ করছে না। বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বা সরকার হয়তো তা জানেই না। নতুবা শিক্ষা নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথাই নেই। যেটা বিগত সময়ের সরকার গুলোর মাঝেও ছিল না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক যখন ৯০% এর উপরে শিক্ষার্থী এস এস সি পাশ করে। তাহলে ঐ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কি? ছাত্ররা আইএ বিএ পাশ করে কোনো চাকরি পায় না। এই ছাত্রদের যদি এস এস সি পাশ করানো হত চল্লিশ ভাগ তাহলে তো আর কোনো সমস্যাই থাকে না। তাহলে সরকারি চাকরি পেত ১৫% শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বোকামির জন্য দেশে শৃঙ্খল শিক্ষাব্যবস্থা আসেনি। আমার দেয়া পরামর্শ মতে যদি, সমগ্র দেশের সকল শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়। বিশেষ করে ক্লাস রুটিং এবং লেখাপড়ার মান। সমগ্র দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার বাহিরে শতভাগ নেয়া যায়। পুরাতন আইন কানুন ভেঙ্গে যদি নতুন বিধান করা হয়। তাহলে দেশের সকল শিক্ষার্থীরা যুগের পর যুগ সম্পূর্ণ অবৈতনিক লেখাপড়া করতে পারবে। যাদের কোনো টাকাই লাগবে না। এটা এমন পদ্ধতি। যা পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই । তাই সারা দুনিয়া জুড়ে বাংলাদেশের সুনাম আসবে বলে আমার বিশ্বাস। শিক্ষা খাতে আজকে চরম দুর্নীতি চলছে। যার ফলে শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে অনেকেই পর্যাপ্ত টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু সরকারি কোনো চাকরি নেই। প্রতি একশজন ছাত্রর মাঝে তিন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন ছেলে মেয়ে সরকারি চাকরি পাচ্ছে। বাকিদেরকে বেকার বলা যায়। যেহেতু সরকার চাকরি দিতে ব্যর্থ। তাই সরকারের উচিৎ আমার দেয়া শিক্ষা ফর্মূলা নিয়ে দেশের সর্বজনীন বা সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা। তবেই এই দেশের সকল মানুষেরা খুশি হবে। কারণ শিক্ষাখাতের দুর্নীতি বন্ধ হবে। অনেক বেসরকারি স্কুল ও কলেজ যেন গলাকাটা টাকা নিচ্ছে অভিভাবকদের কাছ থেকে। যার ফলে সন্তান শিক্ষিত এই আধুনিক যুগেও অনেক অভিভাবক অনীহা প্রকাশ করছে। আমার দেয়া ফর্মূলা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে সকল শিক্ষাব্যবস্থাটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চললে আরো বেশি ভালো হয়। আরো সুন্দর হবে বলে আমি মনে করি।
" দেশে অবৈতনিক শিক্ষা চাই, সবার জীবন সুন্দর চাই, সবার স্বপ্ন পূরণ চাই"।