অথই নূরুল আমিন
ঢাকা সিটি করপোরেশন, বতর্মানে দুটি সিটিতে ভাগ করা আছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যেভাবে সেই সময়ে একটি সিটি ভেঙ্গে দুটি করা হয়েছিল। সেখানে অনেকটাই আবেগ ছিলো। অনেকটাই স্বার্থ ছিল। এরকম মনোভাব নিয়ে কাজকর্ম করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয় বেশি। ঢাকা সিটি করপোরেশনের গণ বসতি ভোটার হিসেবে। এবং গণ বসতি অনুপাতে এখানে নির্বাচিত মেয়র বা কাউন্সিলরগণ সমগ্র ঢাকাবাসীকে সেবা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। তার প্রথম কারণ কোনো কোনো ওয়ার্ডে রয়েছে লক্ষাধিক ভোটারের চেয়েও বেশি। কোনো এলাকায় রয়েছে পাঁচ লাখের ও বেশি। এখন কথা হলো। ঢাকা সিটি যদি আবার এক করা হয়। তাহলে জনপ্রতিনিধিরা কিভাবে সেবা দেবেন? সেবা দেবার জন্য পদ্ধতি পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। যেমন নাগরিক প্রত্যায়ন পত্র। ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, ডেড সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধনসহ এই জাতীয় সেবাই বেশি দেয়া হয়ে থাকে, বিশেষ করে সিটি গুলোতে। তাই এখানে নাগরিক সেবার জন্য একেকটি ওয়ার্ডে চারটি করে কাউন্সিলর সেবা বুথ থাকা একান্ত জরুরি। নতুবা ওয়ার্ড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করি। অন্যদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশন যদি চার ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ভাগে যদি ভোটার গননার ফলে প্রতিটি সিটিতে ৩৫ টি করে ওয়ার্ড করা হয়। তাহলে ঢাকা শহরে মোট ওয়ার্ড হবে ১৪০ টি। তখন যেমন জনপ্রতিনিধি বাড়বে। তেমনি সীমানাও ছোট হয়ে আসবে। এরকম জনগণ ও কমে আসবে প্রতিটি ওয়ার্ডের গননায়। আমি মনে করি, একটি সিটি করেও ১৪০টি ওয়ার্ড করা যায়। আবার দুই সিটি রেখেও ১৪০ টি ওয়ার্ড করা যায়। তারপরও প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রায় চল্লিশ হাজারের মত ভোটার থাকবে নির্বাচন কমিশনের গননা অনুযায়ী ।তবে সবচেয়ে ভালো হয় চারটি সিটি করা যেমন : উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব,পশ্চিম। আর একটি সিটি করতে পারলে আরো ভালো হয়। তবে সিটি একটি হোক বা দুটি থাকুক। অথবা চারটি হোক বা না হোক। ওয়ার্ড একশ চল্লিশটি করা দরকার। শুধুমাত্র জনগণের প্রাপ্ত সেবা প্রদানের জন্য। যেকোনো সরকার আসুক না কেন, তখন তাদের সুনাম বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।